সোমবার ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটি
দেশের সেরা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছে। এই বৈঠকে
কেন্দ্রের তরফে ছিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পাল, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য
সচিব রাজেশ ভূষণ-সহ অন্যান্যরা। মোট পাঁচটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার
সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে দেখা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এই সংস্থাগুলি হল সেরাম
ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India), ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech),
জাইদাস ক্যাডিলা (Zydus Cadila), জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস এবং
হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই। সংস্থাগুলির কাছে মূলত ভ্যাকসিন তৈরিতে
তাঁদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। কারা পরীক্ষার কোন পর্যায়ে আছে,
তাঁদের সমস্যা কী কী, এসব কথা শোনে কেন্দ্রীয় কমিটি। সংস্থাগুলির কী কী
ভাবে সাহায্য প্রয়োজন, সেটাও জানতে চাওয়া হয় কমিটির তরফে। কেন্দ্র ওষুধ
প্রস্তুতকারীদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে এবং ভ্যাকসিন তৈরির
প্রক্রিয়ায় গতি আনতে অনুরোধ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে,
এই বৈঠকের ফলে দুই তরফই উপকৃত হবে।
গতি আসছে ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়ায়! ৫ দেশীয় সংস্থার সঙ্গে বৈঠক কেন্দ্রীয় কমিটির
দেশের মাটিতে করোনার ভ্যাকসিন কবে তৈরি হবে? আপাতত সেই প্রতীক্ষায় প্রহর
গুণছে কোটি কোটি ভারতবাসী। রাশিয়া ইতিমধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কথা
ঘোষণা করলেও, তাতে ভারতের খুব একটা উপকার হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
কারণ, রাশিয়ার ভ্যাকসিনের যা উৎপাদন হার, তাতে ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের
শরীরে তা দিতে হলে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। আসলে, দেশের মাটিতে ভ্যাকসিন
তৈরি না হলে সব ভারতবাসীর হাতে তা তুলে দেওয়াটা সত্যিই একপ্রকার অসম্ভব।
সেজন্যই কেন্দ্র দেশীয় সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দিচ্ছে ভ্যাকসিন তৈরির কাজে। এই
সংস্থাগুলিকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment